অ্যাসিড বৃষ্টি এক ধরনের বৃষ্টিপাত, যার প্রকৃতি অম্লীয় (ph<৭)। সাধারণত বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র এবং বিভিন্ন কারখানা থেকে সৃষ্ট অম্লীয় অক্সাইড (SO2,NO2,CO2) সমূহ বায়ুমণ্ডলের জলীয়বাষ্প (H2O) কণা এবং অক্সিজেনের (O2) সাথে বিক্রিয়া করে অম্ল উৎপন্ন করে। এই অম্ল ঐ অঞ্চলে বা দূরবর্তী কোন স্থানে বৃষ্টির জলের সাথে ঝরে পড়ে। অম্লীয় প্রকৃতির কারণে উক্ত বৃষ্টিপাত অম্ল-বৃষ্টি তথা অ্যাসিড বৃষ্টি নামে পরিচিত। অ্যাসিড-বৃষ্টির ক্ষয়কারী ধর্ম পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। বিভিন্ন জীবাশ্ম জ্বালানী যেমন: কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস, তেল ইত্যাদির দহনের ফলে সালফারের অক্সাইড (SO2, SO) সমূহ এবং নাইট্রোজেনের (N) বিভিন্ন অক্সাইড উৎপন্ন হয়।
আবারঃ এসিড বৃষ্টি মানে হচ্ছে বৃষ্টির পানির pH ৫.৫ কিংবা ৬.৫ এর নিচে থাকা যেখানে সাভাবিক পানির pH থাকে ৭।
কারনঃ কল-কারখানা কিংবা যানবাহনের নিসৃিত কালো ধোঁয়া থেকে প্রতিনিয়ত সালফার ডাই অক্সাইড, কার্বন ডাই-অক্সাইড বায়ুমন্ডলে ছড়িয়ে পরছে। এসব গ্যাসের ধর্ম এসিডিও। সালফার ডাই-অক্সাইড প্রথমে অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে সালফার ট্রাই অক্সাইডে পরিনত হয় যা বৃষ্টির পানির সাথে মিশে ধূমায়মান সালফিউরিক এসিড তৈরি করে বৃষ্টির পানির সাথে মিশে পতিত হয়। অনুরূপ ভাবে কার্বন ডাই-অক্সাইড ও বৃষ্টির পানিরসাথে মিশে কার্বনিক এসিড সৃষ্টি করে এসিড রেইন আকারে মাটিতে পড়। বায়ুমন্ডলে নাইট্রোজেনের অক্সাইড গুলোও এসিড বৃষ্টি সৃষ্টি করতে পারে।
দীর্ঘদিন পর বৃষ্টিপাত হলে সেই পানির pH অনেক কম থাকে যাকে আমরা এসিড রেইন বলতে পারি।
প্রভাবঃ উদ্ভিদ- প্রাণীর উভয়ের ক্ষতি হয়ে থাকে। প্রাণির স্কিনে ক্যানসার হতে পারে। গাছপালা মরে যেতে পারে।