সময় হচ্ছে একটি চলমান রাশি ।
এর বিপরীত অর্থ জানতে হলে এমন একটি অচল রাশি এর কথা চিন্তা করতে হবে যাহা সময়ের বিপরীত মুখী গুণ অথবা বিরোধী গুণ সম্পন্ন হতে হবে।
কিন্তু এধরনের কোন কিছু আছে বলে জানা যায় নি।
সময় সমন্ধে বৈজ্ঞানিকেরা কিছু তথ্য দিয়েছেন যেগুলো আমাদের মতো লোকের কাছে আজব ব্যাপার মনে হয়।
যেমন:- (১) সময় হচ্ছে আপেক্ষিক । অর্থাৎ পিরামিড এর উপর বসা ব্যাক্তির সময় ধীর গতিতে চলে আর পিরামিড এর নীচে বসা ব্যাক্তির সময় দ্রুত গতিতে চলে।
(২) সময় নিশ্চল হতে পারে। ব্লেক হোল এর ভেতরে সময় চলে না। সেখানে সময় নিশ্চল।
(৩) সময় এর গতিপথ বক্র। পৃথিবী গ্রহ নক্ষত্র সমুদ্র এইসব জায়গায় সময় এর গতিপথ বক্র। বিভিন্ন মহাকর্ষীয় শক্তি চুম্বক শক্তি এই গতিপথ কে বক্র করে দেয়। এতে সময়ের হের ফের হয় ।
কিন্তু বৈজ্ঞানিকদের এই তথ্য থেকে যে প্রশ্নটি মাথায় আসছে তা হলো, সময় নিশ্চল হয়ে কত বৎসর আছে?
এই হিসাব করতে ও তো সময়ের হিসেব দরকার। তাহলে সময় নিশ্চল হচ্ছে কোথায়?
"বিস্তৃতি, সময় ও ঈশ্বর" এই তিনটি মানুষের জ্ঞানের পরিধি এর বাইরে।
একটি সরলরেখা আকাশের উপরের দিকে টানতে থাকুন। এটি বায়ুমণ্ডল মহাকাশ পার হয়ে গেলেও আরো উপরের দিকে টানতে পারবেন। এই বিস্তৃতি এর শেষ নেই।
সময় কখন থেকে চালু হয়েছে, কত দিন অচল ছিল, কখন আবার অচল হবে তা মানুষের জ্ঞানের পরিধি এর বাইরে।
ঈশ্বর নিরাকার, রূপ রস গন্ধ এবং বিকৃতি ঈশ্বর এর নেই। এই অবস্থার কল্পনা বা জ্ঞান মানুষের জ্ঞানের পরিধি এর বাইরে।
ভালো সময়, খারাপ সময়, সঠিক সময়, ভূল সময়, উপযুক্ত সময়, অসময় এগুলো মানুষের নিজের অবস্থা বর্ণনা করে মাত্র। এটা সময়ের বর্ণনা নয়।
ভালো সময় একজনের কিন্তু ঐ সময়টাই আরো একজনের কাছে খারাপ সময়।