person
!
প্রোফাইল আপডেট
সাজেস্টেড: পড়াশোনা, লেখালেখি, বিজ্ঞান

সদস্যঃ TamimAdnani

আমি সদস্য হয়েছি 1 বছর (since 10 এপ্রিল 2024)
সদস্যের ধরণ নিবন্ধিত সদস্য
আমার পূর্ণ নাম: তামিম আল আদনানী
লিঙ্গ: Male
পেশা:
আমার বর্তমান অবস্থান:
প্রিয় উক্তি:

TamimAdnani এর কার্যক্রম

স্কোরঃ 6 পয়েন্ট(র‌্যাংক # 777 )
উপাধিঃ (অতিথি)
প্রশ্নঃ 1
উত্তরঃ 0
মন্তব্যসমূহঃ 0
ভোট দিয়েছেনঃ 0 টি উত্তর
দান করেছেন: 0 সম্মত ভোট, 0 অসম্মত ভোট
প্রাপ্তঃ 0 সম্মত ভোট, 0 অসম্মত ভোট

TamimAdnani এর সময়ক্রম

প্রিয় অথিতি, এই সময়ক্রমে পোস্ট করতে চাইলে দয়া করে প্রবেশ করুন কিংবা নিবন্ধন করুন
উজব থেকে বেঁচে থাকুন-
.
দ্বীনদার শ্রেণিকে ধোঁকা দেয়ার জন্য শয়তান যেসকল অ/স্ত্র ব্যবহার করে তার মধ্যে অন্যতম একটি অ/স্ত্র হল উজব বা আত্মমুগ্ধতা। উজব মানে হল নিজের কাজ ও মতের ব্যাপারে মুগ্ধতায় ভোগা, নিজের কাজ ও মতকে অন্যদের চেয়ে উত্তম মনে করা, কোন ভাল কাজ করা সম্ভব হলে তার জন্য আল্লাহর শুকরিয়া আদায় না করে নিজেকেই প্রশংসার হকদার মনে করা।
.
উজব আক্রান্ত ব্যাক্তি নিজেকে অনেক বড় মনে করে, ত্রুটিপূর্ণ কিছু আমল করেই নিজেকে আল্লাহওয়ালা বুযুর্গ ভাবতে শুরু করে। তারা সবসময় নিজের প্রশংসা শুনতে পছন্দ করে, অন্যদের প্রশংসা শুনতে চায়না। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা নিজেকে সর্বেসর্বা, সব গুণের আধার ও সব কাজের কাজী মনে করে।
.
এই আত্মতৃপ্তি ও আত্মমুগ্ধতার ফলে তারা অজানা বিষয়ে কারো কাছে জিজ্ঞেস করতে পারেনা; পাছে আবার কেউ তাকে ছোট মনে করে কিনা এই ভয়ে। এই ধরনের মানুষেরা সাধারণত কারো নসিহতে কর্ণপাত করেনা, কেউ ভুল ধরিয়ে দিলে তাকে অপছন্দ করে। অনেকের অবস্থা তো এমন যে, গুনাহ করে ফেললেও তাওবা করার কথা চিন্তা করেনা, কারন তার ভাবনা থাকে আমি হলাম আল্লাহর নৈকট্যশীল বান্দা।
.
উজবের ভয়াবহতাঃ
.
উজব খুবই গুরুতর একটি আত্মিক রোগ। এর থেকে আরো অনেকগুলো ভয়ানক ব্যাধির জন্ম হয়। তাই একে অংকুরেই বিনাশ করার চেষ্টা করা উচিত। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন হাদীসে এটাকে ধ্বংসাত্মক বলে বর্ণনা করেছেন, ইরশাদ করেছেনঃ   
ثلاث منجيات وثلاث مهلكات ، فأما المنجيات فتقوى الله في السر والعلانية ، والقول بالحق في الرضا والسخط ، والقصد في الغنى والفقر، وأما المهلكات فهوى متبع ، وشح مطاع، وإعجاب المرء بنفسه وهي أشدهن
তিনটি জিনিস মুক্তিদানকারী আর তিনটি জিনিস ধ্বংসকারী। মুক্তিদানকারী জিনিস তিনটি হলঃ প্রকাশ্যে অপ্রকাশ্যে আল্লাহকে ভয় করা, সুখে দুখে হক কথা বলা এবং দারিদ্রতা ও স্বচ্ছলতায় মধ্যপন্থা অবলম্বন করা। আর ধ্বংসাত্মক জিনিস তিনটি হলঃ প্রবৃত্তির অনুসরণ, লোভ লালসার অনুগমন, এবং ব্যাক্তির নিজের প্রতি মুগ্ধতা; আর এটিই হল সবচেয়ে বেশি মারাত্মক। - (আল মুজামুল আওসাত লিত তাবারানী)
.
উজবে নিপতিত ব্যক্তিরা নিজেদের ছোটাখাটো নেক আমলকে পাহাড়সম মনে করে, ফলে তাদের আমল বরবাদ হয়ে যায়; কিন্তু তারা বিষয়টি বুঝতে পারে না।
আল্লাহ তাআলা বলেছেনঃ
اَلَّذِیۡنَ ضَلَّ سَعۡیُهُمۡ فِی الۡحَیٰوۃِ الدُّنۡیَا وَ هُمۡ یَحۡسَبُوۡنَ اَنَّهُمۡ یُحۡسِنُوۡنَ صُنۡعًا
ওরাই তারা, পার্থিব জীবনে যাদের চেষ্টাগুলো বিফলে গেছে,  অথচ তারা মনে করে যে, তারা সৎ কাজ করছে। - সুরা কাহফ ১০৪
.
উজবের চিকিৎসাঃ
.
উজবের চিকিৎসা হল অন্তরে সদা সর্বদা এই অনুভূতি জাগ্রত রাখা যে, আমাদের দ্বারা যত সুন্দর ও ভাল কাজ সম্পাদিত হয় এবং আমরা যেসকল নেয়ামত ভোগ করি সব আল্লাহ তাআলার অনুগ্রহেই সম্ভব হয়। এখানে আমাদের কোন ভূমিকা বা কৃতিত্ব নেই। তিনি যদি তাওফিক না দিতেন তাহলে আমাদের পক্ষে কোন ভাল কাজ করা বা কোন নেয়ামত লাভ করা সম্ভব হতোনা। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেনঃ
وَ لَوۡ لَا فَضۡلُ اللّٰهِ عَلَیۡكُمۡ وَ رَحۡمَتُهٗ مَا زَكٰی مِنۡكُمۡ مِّنۡ اَحَدٍ اَبَدًا ۙ وَّ لٰكِنَّ اللّٰهَ یُزَكِّیۡ مَنۡ یَّشَآءُ ؕ وَ اللّٰهُ سَمِیۡعٌ عَلِیۡمٌ
তোমাদের প্রতি যদি আল্লাহর অনুগ্রহ ও দয়া না থাকতো তাহলে তোমাদের কেউ কখনো পবিত্রতা লাভ করতে পারত না। কিন্তু আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পবিত্র করেন, আল্লাহ সব কিছু শোনেন, সর্ববিষয়ে অবগত। - (সুরা নুর ২১)
.
অপর এক আয়াতে তিনি বলেছেনঃ
وَ مَا بِكُمۡ مِّنۡ نِّعۡمَۃٍ فَمِنَ اللّٰهِ
তোমরা যে সব নেয়ামত ভোগ কর তা তো আল্লাহর পক্ষ হতেই। ( সুরা নাহল ৫৩ )
.
অতএব হে ভাই, নেক আমল ও নেয়ামত প্রাপ্তি যেন আমাদেরকে ধোঁকায় না ফেলে।  আমরা যেন কিছু নেক আমল করতে পেরে নিজেকে বড় কিছু ভাবা না শুরু করি। কারন আমি তো জানিনা এই আমল কবুল হবে কিনা, এই আমলের মাধ্যমে জান্নাত মিলবে কিনা।
উপরন্তু শুধু আমলের জোরে তো কেউ জান্নাতে যাবেনা। হাদিসে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ
لَنْ يُدْخِلَ أَحَدًا عَمَلُهُ الْجَنَّةَ قَالُوا وَلاَ أَنْتَ يَا رَسُوْلَ اللهِ قَالَ لاَ وَلاَ أَنَا إِلاَّ أَنْ يَتَغَمَّدَنِي اللهُ بِفَضْلٍ وَرَحْمَةٍ فَسَدِّدُوا وَقَارِبُوا
তোমাদের কোন ব্যক্তিকে তার নেক আমল জান্নাতে প্রবেশ করাতে পারবেনা। সাহাবীরা জিজ্ঞেস করলেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! আপনাকেও নয়? তিনি বললেনঃ আমাকেও নয়, যতক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ আমাকে তাঁর করুণা ও দয়া দিয়ে আবৃত না করেন। কাজেই মধ্যমপন্থা অবলম্বন করো এবং নৈকট্য লাভের চেষ্টা চালিয়ে যাও। (সহীহুল বুখারি ৫৬৭৩)
.
এই জন্য যখনই আমাদের মনে উজব বা আত্মমুগ্ধতার উদয় হবে তৎক্ষণাৎ সেটাকে মন থেকে দূর করে দেয়ার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ তাআলা সহজ করুন।
করেছেন TamimAdnani  
এত চর্চা ও গবেষণার পরও কেন আমাদের জীবনে কুরআনী শিক্ষার প্রতিফলন নেই?-
.
আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারীম নাযিল করেছেন আমাদের জন্য। যেন আমরা এর আলোয় জীবন গড়ে দুনিয়া আখিরাতকে সাফল্যমণ্ডিত করতে পারি। সাহাবায়ে কেরাম এই কুরআন ধারণের মাধ্যমেই দুনিয়াতে রাজত্ব এবং আখিরাতে শ্রেষ্ঠত্বের আসন লাভ করেছিলেন।
.
সেই কুর আন এখনো আছে, একেবারে আগের মতই আছে। আমরাও কুরআন পড়ি, কুরআনের অর্থ ব্যখ্যা শানে নুযুল সবই জানি। কুরআনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ধরণের অনুষ্ঠানের আয়োজন করি।
.
তবু কেন আমাদের এত দূর্দশা, এত বেহাল অবস্থা! কেন আমাদের মাঝে কুরআনী শিক্ষার তেমন কোন প্রতিফলন নেই? কেন এত চর্চার পরও আমাদের সমাজ কুরআনী সমাজ হয়না? মানবজাতির হেদায়াতের জন্য এক ও একমাত্র কিতাব হল কুরআনুল কারীম, এই কথা জানার পরও কেন আমাদের কাছে পশ্চিমের নোংরা সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থা এবং পূঁজিবাদী অর্থব্যবস্থা বেশি প্রিয়?
.
এর একটা কারন হল আমরা কুরআনকে নিজের জন্য, নিজের হেদায়াতের জন্য পড়িনা। কুরআনের শিক্ষা ও আদর্শ যে সর্বপ্রথম নিজের মধ্যেই ধারণ করতে হবে এমনটা মনে করিনা। আমরা কুরআন শিখি অন্যদের ওয়াজ করার জন্য এবং নিজ মতের পক্ষে দলিল খোঁজার জন্য। কিন্তু কুরআন আমাদেরকে যেই আদর্শে গড়ে তুলতে চায় সেই আদর্শ ধারণ করার জন্য পড়িনা।
.
আমরা যদি ব্যক্তি সমাজ রাষ্ট্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন চাই তাহলে আমাদেরকে সাহাবায়ে কেরামের মত কুরআন পড়তে এবং বুঝতে হবে, তাদের মত করে কুরআনকে ধারণ করে এর শিক্ষা ও আদর্শকে বাস্তবায়নের জন্য নিজের জান মাল সব কোরবান করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। এভাবে অগ্রসর হলে কুরআনী সমাজ গড়ে উঠবেই ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহ তাআলা বলেছেন-  
إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَذِكۡرَىٰ لِمَن كَانَ لَهُۥ قَلۡبٌ أَوۡ أَلۡقَى ٱلسَّمۡعَ وَهُوَ شَهِيدٞ [ق: ٣٧]
“নিশ্চয় এতে উপদেশ রয়েছে তার জন্য, যার রয়েছে অন্তর অথবা যে নিবিষ্টচিত্তে শ্রবণ করে।” -সূরা ক্বফ আয়াত: ৩৭
আচ্ছা আমাদের মধ্যে কি ক্বলব আছে? তাহলে কেন এত চর্চা, এত গবেষণা, এত ওয়াজ মাহফিলের পরও আমরা কুরআনী শিক্ষাকে ধারণ করতে পারিনা?
.
সময় বের করে একটু উত্তর খোঁজার চেষ্টা করি…
করেছেন TamimAdnani  
আমরা কেন সাহাবীদের মত শিক্ষা গ্রহণ করিনা?
.
কুরআনুল কারীম হল আমাদের হৃদয়ের খোরাক, অন্ধকারের আলো এবং আখিরাতের কঠিন সময়ের বিশ্বস্ত সাথী। এই কারণে কুরআনুল কারীমের সাথে আমাদের সবচেয়ে গভীর সম্পর্ক হওয়া উচিত। কিন্তু দুঃখের ব্যপার হল কুরআনুল কারীমের সাথে আমাদের সম্পর্ক ভাল নয়। কুরআনের উপদেশ ও নির্দেশ সম্বলিত আয়াতাবলি আমাদের জীবনে কোন পরিবর্তন আনতে পারেনা। ভীতির আয়াতসমূহ তিলাওয়াতে আমরা ভীত হইনা, খুশি এবং সুসংবাদের আয়াত তিলাওয়াতে আনন্দিত হইনা।
.
অথচ সাহাবায়ে কেরামের অবস্থা ছিল পুরোপুরি ভিন্ন। তাঁরা ছিলেন কুরআনুল কারীমের জীবন্ত নমুনা। কুরআনুল কারীম তাদের জীবনকে পুরো পালটে দিয়েছিল। কুরআনের উপদেশ ও নির্দেশনার আলোকে তাঁরা পুরো জীবনকে সাজিয়েছিলেন। কুরআনের একেকটি আয়াত তাদের জীবনে যে প্রভাব ফেলতো তা আমাদের জন্য অকল্পনীয়।
বুখারী এবং মুসলিমে সাবিত ইবনে কায়েস রাদিয়াল্লাহু আনহুর ব্যাপারে একটি ঘটনা বর্ণিত হয়েছে।
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّهُ قَالَ لَمَّا نَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ ‏(‏ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تَرْفَعُوا أَصْوَاتَكُمْ فَوْقَ صَوْتِ النَّبِيِّ‏)‏ إِلَى آخِرِ الآيَةِ جَلَسَ ثَابِتُ بْنُ قَيْسٍ فِي بَيْتِهِ وَقَالَ أَنَا مِنْ أَهْلِ النَّارِ ‏.‏ وَاحْتَبَسَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم سَعْدَ بْنَ مُعَاذٍ فَقَالَ ‏"‏ يَا أَبَا عَمْرٍو مَا شَأْنُ ثَابِتٍ أَشْتَكَى ‏"‏ ‏.‏ قَالَ سَعْدٌ إِنَّهُ لَجَارِي وَمَا عَلِمْتُ لَهُ بِشَكْوَى ‏.‏ قَالَ فَأَتَاهُ سَعْدٌ فَذَكَرَ لَهُ قَوْلَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ثَابِتٌ أُنْزِلَتْ هَذِهِ الآيَةُ وَلَقَدْ عَلِمْتُمْ أَنِّي مِنْ أَرْفَعِكُمْ صَوْتًا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَنَا مِنْ أَهْلِ النَّارِ ‏.‏ فَذَكَرَ ذَلِكَ سَعْدٌ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ بَلْ هُوَ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ
আনাস ইবনে মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ যখন এই আয়াত নাযিল হলো,
‏(‏ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تَرْفَعُوا أَصْوَاتَكُمْ فَوْقَ صَوْتِ النَّبِيِّ‏)‏ إِلَى آخِرِ الآيَةِ
অর্থাৎ হে মুমিনগণ! তোমরা নবীর আওয়াজের উপর তোমাদের আওয়াজ উঁচু করোনা। তোমরা নিজেরা পরস্পরে যেমন উচ্চ আওয়াজে কথা বল, তাঁর সঙ্গে সে রকম উচ্চ আওয়াজে কথা বলো না। এমনটা করলে তোমাদের নেক আমল নষ্ট হয়ে যাবে, কিন্তু তোমরা একটু টেরও পাবে না। - সূরা হুজুরাত ২
.
তখন সাবিত রাদিয়াল্লাহু আনহু নিজের ঘরে বসে গেলেন এবং বলতে লাগলেন, আমি তো জাহান্নামী। এরপর থেকে তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মজলিসে যাওয়া বন্ধ করে দিলেন। একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাদ ইবনু মুয়ায রাদিয়াল্লাহু আনহুকে সাবিত রাদিয়াল্লাহু আনহু সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন। বললেন, হে আবূ আমর! সাবিতের কি অবস্থা, সে কি অসুস্থ? সাদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, তিনি আমার প্রতিবেশী, তার কোন অসুখ হয়েছে বলে তো জানিনা।
.
বর্ণনাকারী সাহাবী বলেন, পরে সাদ রাদিয়াল্লাহু আনহু সাবিত রাদিয়াল্লাহু আনহুর কাছে গেলেন এবং তার সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খোঁজ নিয়েছেন বলে জানালেন। শুনে সাবিত রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেনঃ এ আয়াত নাযিল হয়েছে, আর আপনারা তো জানেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর আমার কণ্ঠস্বরই সবচেয়ে উঁচু হয়ে যায়, সুতরাং আমি তো জাহান্নামী। তখন সাদ রাদিয়াল্লাহু আনহু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এসে এই কথা বললেন। শুনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ না, বরং সে তো জান্নাতী। মুসলিম – ১১৯
.
আল্লাহু আকবার! এই ছিল সাহাবায়ে কেরামের কুরআনুল কারীমের আয়াত শুনে ভীত হওয়ার নমুনা। আয়াত নাযিল হওয়ার পর উঁচু আওয়াজের কারণে তিনি এত বেশি ভয় পেয়েছিলেন যে, ঘর থেকেই বের হতে পারছিলেন না। এই ভয়টা ছিল প্রকৃত ভয়। এর ফলে আল্লাহ তাআলা খুশি হয়ে দুনিয়াতেই তাকে এই ভয় থেকে মুক্তি দেয়ার ঘোষনা শুনিয়ে দিলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পুরো দুনিয়াবাসীকে জানিয়ে দিয়েছেন যে, সাবিত জান্নাতী।  
.
এবার একটু আমরা নিজেদের দিকে দৃষ্টি দেই, আমরা কি কখনো কোন আয়াত পড়ার পর নিজের ভুলের দিকে তাকিয়ে এভাবে ভীত হয়েছি? স্পষ্ট ভুলের উপর থাকার পরও কেউ সেই সম্পর্কিত আয়াত স্মরণ করিয়ে দিলে ভীত হয়ে কাজটি ছেড়ে দিয়েছি নাকি নিজেকে বড় মনে করে ঔদ্ধত্ব প্রকাশ করেছি?
করেছেন TamimAdnani  
কবে বোধোদয় হবে আমাদের?
.
সাতচল্লিশ থেকে একাত্তর, একাত্তর থেকে পচাত্তর, পঁচাত্তর থেকে চব্বিশ- অসংখ্য আন্দোলন সংগ্রামের স্বাক্ষী হয়েছি আমরা। প্রতিবারই এর মাধ্যমে শাসকের পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু জনগণের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হয়নি। এত রক্ত ও ত্যাগের পর মানুষ আশা ভরসা করে যাদেরকে ক্ষমতায় বসিয়েছে তারাই তাদের সাথে গাদ্দারি করেছে। ক্ষমতা হাতে পেয়ে পুরো দেশকে নিজের পৈতৃক সম্পত্তি বানিয়ে বসেছে। দলীয় লোকদের চাঁদাবাজি, ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি করার সুযোগ করে দিয়েছে। খাস লোকদের উঁচু পদে বসিয়েছে। পছন্দের লোকদের ব্যাবসা বাণিজ্য এবং সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করার সুযোগ করে দিয়েছে।
.
সরকারের পরিবর্তন হলেও সরকারের নীতির কোন পরিবর্তন হয়নি। সরকারী আমলা, কর্মচারী ও দলীয় লোকদের চরিত্রের কোন পরিবর্তন হয়নি। সরকার যায় সরকার আসে, ঘুষ, দুর্নীতি, অনাচার, অবিচার আগের মতই চলে, গরীব গরীবই থাকে, ইসলাম বিদ্বেষীদের আস্ফালন আগের মতই থাকে। কোন কিছুর পরিবর্তন হয়না, পরিবর্তন হওয়ার কোন সম্ভাবনাও দেখা যায়না। নতুন সরকারের অনাচার অবিচার দেখতে দেখতে একটা সময় মানুষ আবার নিজেকে এই জুলুমের সাথে মানিয়ে নেয়। অত্যাচারিত হওয়াকেই নিয়তি ভেবে নেয়। এরপর যখন সহ্য সীমা ছাড়িয়ে যায় তখন আবার মাঠে নামে।
.
এভাবেই চলে আসছে যুগের পর যুগ, হাজারো প্রাণ বিলিয়েও পাচ্ছেনা কেউ একটুখানি সুখ। মানুষ কেমন যেন একটা বৃত্তের মাঝে ঘুরপাক খাচ্ছে। এক কুমিরের মুখ থেকে বেরিয়ে আরেক কুমিরের মুখে পড়ছে।
এই চিত্র শুধু আমাদের দেশের নয়, আশে পাশের দেশগুলোর চিত্রও একই। কথিত সভ্য রাষ্ট্রগুলোর চিত্রও এর থেকে ভিন্ন নয় বরং আরো ভয়াবহ, তারা শুধু নিজ দেশেই জুলুম নির্যাতন করছেনা, অন্য দেশে গিয়েও লুটতরাজ জুলুম নিপীড়ন চালাচ্ছে।
.
কিন্তু প্রশ্ন হল কেনো এত ত্যাগ এত কোরবানীর পরও মানুষের ভাগ্যের বদল হচ্ছেনা ? কেনো দেশ থেকে জুলুম নির্যাতন বিদায় নিচ্ছেনা?
এই প্রশ্নের উত্তর  হল-  এই অবস্থার জন্য মূলত দায়ী হল বিদ্যমান মানবরচিত রাষ্ট্রব্যবস্থা এবং ব্রিটিশদের রেখে যাওয়া বিচারব্যবস্থা। বিদ্যমান রাষ্ট্রব্যবস্থা ক্ষমতাসীন এবং সরকারী আমলাদের জনগণের সেবক বানায়না, বরং জালিম বানায়।
.
এই ব্যবস্থায় একজন ব্যাক্তিকে জালিম বানানোর জন্য যত উপায় উপকরণ দরকার সবই বিদ্যমান আছে। কারণ এখানে কারো কাছে জবাবদিহী করতে হয়না, অন্যায় করলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়না, কিছু হলে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে নেয়া যায়। এরপর যেসকল আকিদা বিশ্বাস একজন মানুষকে অন্যায় অপরাধ থেকে বিরত রাখে সেগুলোকে এখানে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। কোন কর্মকর্তা কর্মচারী ইসলাম পালন করতে চাইলে তাকে হয় শাস্তির মুখোমুখি করা হয় অথবা প্রমোশন আটকে দিয়ে অন্যদের ইসলাম পালনে ভীতি তৈরি করা হয়।  
.
এখানে যেই জিনিসকে পবিত্র মনে করা হয় সেটি হল সংবিধান। সংবিধান পালনের বাধ্যবাধকতা থাকলেও একে সংস্কার করার ক্ষমতা থাকে এই জালিমদেরই হাতে। তাদের হাতেই থাকে আইন প্রণয়নের ক্ষমতা। তারা তাদের ইচ্ছামত যখন যেভাবে খুশি আইন বানাতে পারে। কোন আইন নিজেদের প্রতিকূলে থাকলে সংশোধন করে অনুকূলে করে নিতে পারে। সংবিধানের কোন ধারা নিজের বিরুদ্ধে থাকলে সংবিধানকেও সংস্কার করে নিতে পারে। এ যেন শিশুদের মাটির খেলনা, যখন যেভাবে খুশি পরিবর্তন করার স্বাধীনতা।
এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ চাইলে এই সিস্টেমকে পরিবর্তন করতে হবে এবং এই ছেলেখেলার পথ পুরোপুরি বন্ধ করতে হবে। সিস্টেম পরিবর্তন না করে শুধু শাসক পরিবর্তনের জন্য আন্দোলন করলে প্রতিবারের মত হতাশ হতে হবে।
.
কিভাবে সিস্টেম পরিবর্তন করা সম্ভব হবে?
যেভাবে সাহাবায়ে কেরাম রাদিয়াল্লাহু আনহুম জাহিলী ব্যবস্থার পতন ঘটিয়ে ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। তাঁরা মূলত দুইটি কাজের মাধ্যমে এই পরিবর্তন এনেছিলেন ১. দাওয়াত ২. জি*হা*দ। বর্তমানে আমরাও যদি আধুনিক জাহিলী ব্যবস্থার পতন ঘটিয়ে ইসলাম আনতে চাই তাহলে আমাদের সামনেও এই দুই পথ অনুসরণের বিকল্প নেই। এই ব্যাপারে ইমাম মালিক রহিমাহুল্লাহ স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত একটি কথা বলেছেন, তিনি বলেছেনঃ এই উম্মতের শেষভাগের সফলতা সেই পথে যেই পথে প্রথমভাগ সফল হয়েছিল।
করেছেন TamimAdnani  
"যারা সামরিক দিক থেকে পরাজিত, কিন্তু আদর্শিকভাবে, মানসিকভাবে পরাজিত নয়, তারা পুনরায় বিজয়ের স্বপ্ন দেখে। কিন্তু পরাজিত মানসিকতার মানুষেরা কখনো ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখেনা। মনিবের এঁকে দেয়া ছকের মাঝেই তারা সফলতা খুঁজে বেড়ায়।"
করেছেন TamimAdnani  
যে ব্যক্তি ‘ওয়া কবিলতু জামিআ আহকামিহি’ তথা ‘আল্লাহর সকল বিধি বিধান মেনে নিলাম’ বলে ঈমান আনয়ন করে, তার পক্ষে মানবরচিত তন্ত্র মন্ত্র এবং সংবিধানকে মেনে নেওয়া সম্ভব না।
করেছেন TamimAdnani  
যেই ব্যক্তি দিনে অন্তত পাঁচ ওয়াক্ত সালাতে বুঝেশুনে আল্লাহু আকবার তথা আল্লাহ সবচেয়ে বড় এই কথার স্বীকারোক্তি দেয়, তার পক্ষে গাইরুল্লাহ তথা আল্লাহ ছাড়া ভিন্ন কারো বানানো জীবনব্যবস্থার অধীনে শান্তভাবে জীবন-যাপন করা সম্ভব নয়।
করেছেন TamimAdnani  
একজন কাফেরের উপর সবচেয়ে বড় দয়া হলো, শরীয়তসম্মত দাওয়াত এবং জিহাদের মাধ্যমে তাকে দ্বীনের দিকে নিয়ে আসা এবং চিরস্থায়ী জাহান্নাম হতে মুক্তির ব্যবস্থা করে দেওয়া।
করেছেন TamimAdnani  
এক-একটা হাসিনার জন্য এক-একজন আবু সাঈদই যথেষ্ট।
.
স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার আজ্ঞাবহ পুলিশ বাহিনীর বুলেটের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে যাওয়া এক যুবক আবু সাঈদ। বাংলার ঘরে ঘরে এ নামটি আজ বেশ সমাদৃত। বিপুল সাহসে ভরা একটি বুক তিনি পেতে দিয়েছিলেন জালিমের বুলেটের সামনে। নির্দয় বুলেট ঢুকে পড়ে আবু সাঈদের বুকে। ঝাঁঝরা হয়ে যায় বুক। তিনি লুটিয়ে পড়েন মাটিতে। চলে যান আপন রবের সান্নিধ্যে। স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে বিজয়ের এই ক্ষণে আবু সাঈদ নেই আমাদের মাঝে। তিনি নেই বলেই আমরা আজ হাসিনামুক্ত। বুলেটের সামনে তিনি এভাবে দাঁড়িয়ে না গেলে আমরা হয়তো হাসিনামুক্ত হতে পারতাম না। স্বাধীনতা যে ত্যাগ আর কুরবানী চায়, সেই ত্যাগ সবাই দিতে পারে না; দিতে পারে আবু সাঈদরা।
জালিমের বুলেটের সামনে বুক চিতিয়ে কীভাবে দাঁড়িয়ে যেতে হয়, আমাদের যুবকদের সেই শিক্ষা দিয়ে গেছেন আবু সাঈদ। এরপর অসংখ্য যুবককে আমরা দেখেছি, পুলিশের সামনে বুক উঁচু করে দাঁড়িয়ে যেতে; বলতে শুনেছি- গুলি কর, গুলি কর!  এ অবদান আবু সাঈদের। আবু সাঈদ আমাদের প্রেরণা। জুলুমকে সয়ে নিতে অভ্যস্ত একটা জাতিকে তিনি টেনে জাগিয়েছেন গভীর নিদ্রা থেকে। যুবকদের অন্তর থেকে মৃত্যুর ভয়কে দূর করেছেন। সমগ্র জাতিকে বন্দুকের নলের সামনে দাঁড়িয়ে যাওয়ার সাহসী সবক শিখিয়েছেন।
.
আজ আবু সাঈদ নেই আমাদের মাঝে। মূলত আবু সাঈদরা এমনই হয়। বিজয়ের পর তারা আর থাকেন না। অন্যদের বিজয়ের স্বাদ উপভোগ করার পথ সুগম করে তারা চলে যান ওপারে। স্বৈরাচারির বিরুদ্ধে যারা জীবন বিলিয়েছে, আবু সাঈদ সকলের অগ্রজ। প্রেরণার বাতিঘর। চেতনার প্রদীপ্ত মশাল। একটি ঘুমন্ত জাতির জাগ্রত মুয়াজ্জিন। পিছু না হটা অমিততেজা এক বীর। আমি আবু সাঈদকে যতবার দেখি ততবার মুগ্ধ হই। তার বীরত্ব দেখে। তাঁর সাহসিকতা দেখে। এত নির্ভিকও হতে পারে মানুষ! জীবনকে বিলিয়ে দেওয়ার এতো আকাঙ্ক্ষা কখন আসে? যখন সে দেখে দেশের প্রতি ইঞ্চি মাটি জুলুমে ভরে গেছে। এই জুলুম রক্ত ছাড়া পরিষ্কার হবার নয়। তখন মানুষ রক্ত ঢালে। মাটিকে পবিত্র করে। এ পথ খুব পিচ্ছিল পথ। যুগে যুগে আবু সাঈদরা এপথে রক্ত ঢেলে পথকে পরিষ্কার করে গেছেন।
.
জালিমের বুলেটের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে যাওয়ার যে সবক আবু সাঈদ আমাদের শিখিয়েছেন, ইনশাআল্লাহ্‌ আগামীতে নতুন কোনো হাসিনাকে হঠানোর ক্ষেত্রে সে অনুকরণীয় হয়ে থাকবে। এক-একটা হাসিনার জন্য এক-একজন আবু সাঈদই যথেষ্ট। বুক ভরা সাহস নিয়ে শুধু দাঁড়িয়ে যেতে হবে। আমি দাঁড়িয়ে গেলে আমার পেছনে দাঁড়িয়ে যাবে গোটা একটা জাতি। এরকম আবু সাঈদ বাংলার ঘরে ঘরে পয়দা হবে ইনশাআল্লাহ্‌।
.
যেদিন এদেশের মানুষ আল্লাহর যমিনে আল্লাহর দ্বীন কায়েমের বিশুদ্ধ আন্দোলন নিয়ে মাঠে নামবে সেদিন এদেশের প্রতিটি যুবক এক-একজন আবু সাঈদ হয়ে উঠবে, ইনশাআল্লাহ। এরকম হাজারটা আবু সাঈদ সেদিন দাঁড়িয়ে যাবে এক কাতারে। আবু সাঈদদের সামনে আর কোনো জালিম টিকে থাকতে পারবে না। আবু সাঈদরা মরে না; মরেও তারা অমর হয়ে থাকে। বেঁচে থাকে যুগ যুগ ধরে। মানুষের অন্তরে। প্রেরণা হয়ে, সাহসিকতার প্রতীক হয়ে, জালিমের আতঙ্ক হয়ে, মাজলুমানের রাহবার হয়ে। রব্বে কা'বা আবু সাঈদের উপর রহম করুন, রাহিমাহুল্লাহু রাহমাতান ওয়াসি'আহ। আমিন।
করেছেন TamimAdnani  
এক-একটা হাসিনার জন্য এক-একজন আবু সাঈদই যথেষ্ট।
.
স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার আজ্ঞাবহ পুলিশ বাহিনীর বুলেটের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে যাওয়া এক যুবক আবু সাঈদ। বাংলার ঘরে ঘরে এ নামটি আজ বেশ সমাদৃত। বিপুল সাহসে ভরা একটি বুক তিনি পেতে দিয়েছিলেন জালিমের বুলেটের সামনে। নির্দয় বুলেট ঢুকে পড়ে আবু সাঈদের বুকে। ঝাঁঝরা হয়ে যায় বুক। তিনি লুটিয়ে পড়েন মাটিতে। চলে যান আপন রবের সান্নিধ্যে। স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে বিজয়ের এই ক্ষণে আবু সাঈদ নেই আমাদের মাঝে। তিনি নেই বলেই আমরা আজ হাসিনামুক্ত। বুলেটের সামনে তিনি এভাবে দাঁড়িয়ে না গেলে আমরা হয়তো হাসিনামুক্ত হতে পারতাম না। স্বাধীনতা যে ত্যাগ আর কুরবানী চায়, সেই ত্যাগ সবাই দিতে পারে না; দিতে পারে আবু সাঈদরা।
জালিমের বুলেটের সামনে বুক চিতিয়ে কীভাবে দাঁড়িয়ে যেতে হয়, আমাদের যুবকদের সেই শিক্ষা দিয়ে গেছেন আবু সাঈদ। এরপর অসংখ্য যুবককে আমরা দেখেছি, পুলিশের সামনে বুক উঁচু করে দাঁড়িয়ে যেতে; বলতে শুনেছি- গুলি কর, গুলি কর!  এ অবদান আবু সাঈদের। আবু সাঈদ আমাদের প্রেরণা। জুলুমকে সয়ে নিতে অভ্যস্ত একটা জাতিকে তিনি টেনে জাগিয়েছেন গভীর নিদ্রা থেকে। যুবকদের অন্তর থেকে মৃত্যুর ভয়কে দূর করেছেন। সমগ্র জাতিকে বন্দুকের নলের সামনে দাঁড়িয়ে যাওয়ার সাহসী সবক শিখিয়েছেন।
.
আজ আবু সাঈদ নেই আমাদের মাঝে। মূলত আবু সাঈদরা এমনই হয়। বিজয়ের পর তারা আর থাকেন না। অন্যদের বিজয়ের স্বাদ উপভোগ করার পথ সুগম করে তারা চলে যান ওপারে। স্বৈরাচারির বিরুদ্ধে যারা জীবন বিলিয়েছে, আবু সাঈদ সকলের অগ্রজ। প্রেরণার বাতিঘর। চেতনার প্রদীপ্ত মশাল। একটি ঘুমন্ত জাতির জাগ্রত মুয়াজ্জিন। পিছু না হটা অমিততেজা এক বীর। আমি আবু সাঈদকে যতবার দেখি ততবার মুগ্ধ হই। তার বীরত্ব দেখে। তাঁর সাহসিকতা দেখে। এত নির্ভিকও হতে পারে মানুষ! জীবনকে বিলিয়ে দেওয়ার এতো আকাঙ্ক্ষা কখন আসে? যখন সে দেখে দেশের প্রতি ইঞ্চি মাটি জুলুমে ভরে গেছে। এই জুলুম রক্ত ছাড়া পরিষ্কার হবার নয়। তখন মানুষ রক্ত ঢালে। মাটিকে পবিত্র করে। এ পথ খুব পিচ্ছিল পথ। যুগে যুগে আবু সাঈদরা এপথে রক্ত ঢেলে পথকে পরিষ্কার করে গেছেন।
.
জালিমের বুলেটের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে যাওয়ার যে সবক আবু সাঈদ আমাদের শিখিয়েছেন, ইনশাআল্লাহ্‌ আগামীতে নতুন কোনো হাসিনাকে হঠানোর ক্ষেত্রে সে অনুকরণীয় হয়ে থাকবে। এক-একটা হাসিনার জন্য এক-একজন আবু সাঈদই যথেষ্ট। বুক ভরা সাহস নিয়ে শুধু দাঁড়িয়ে যেতে হবে। আমি দাঁড়িয়ে গেলে আমার পেছনে দাঁড়িয়ে যাবে গোটা একটা জাতি। এরকম আবু সাঈদ বাংলার ঘরে ঘরে পয়দা হবে ইনশাআল্লাহ্‌।
.
যেদিন এদেশের মানুষ আল্লাহর যমিনে আল্লাহর দ্বীন কায়েমের বিশুদ্ধ আন্দোলন নিয়ে মাঠে নামবে সেদিন এদেশের প্রতিটি যুবক এক-একজন আবু সাঈদ হয়ে উঠবে, ইনশাআল্লাহ। এরকম হাজারটা আবু সাঈদ সেদিন দাঁড়িয়ে যাবে এক কাতারে। আবু সাঈদদের সামনে আর কোনো জালিম টিকে থাকতে পারবে না। আবু সাঈদরা মরে না; মরেও তারা অমর হয়ে থাকে। বেঁচে থাকে যুগ যুগ ধরে। মানুষের অন্তরে। প্রেরণা হয়ে, সাহসিকতার প্রতীক হয়ে, জালিমের আতঙ্ক হয়ে, মাজলুমানের রাহবার হয়ে। রব্বে কা'বা আবু সাঈদের উপর রহম করুন, রাহিমাহুল্লাহু রাহমাতান ওয়াসি'আহ। আমিন।
করেছেন TamimAdnani  

ব্যাজসমূহ

ব্রোঞ্জ

উল্লেখযোগ্য প্রশ্ন x 1
নিয়মিত x 1
দর্শক x 1

রূপা

জনপ্রিয় প্রশ্ন x 1
পুরাতন x 1

সোনা

পূর্বপুরুষ x 1

18,643 টি প্রশ্ন

19,503 টি উত্তর

2,577 টি মন্তব্য

103,416 জন সদস্য

ই-নলেজ কুয়েরি বাংলা ভাষায় সমস্যা সমাধানের একটি নির্ভরযোগ্য ওয়েবসাইট। এখানে আপনি প্রশ্ন-উত্তর করার মাধ্যমে নিজের সমস্যার সমাধানের পাশাপাশি দিতে পারেন অন্যদের সমস্যার নির্ভরযোগ্য সমাধান! বিভিন্ন ব্যক্তিগত সমস্যা, পড়ালেখা, ধর্মীয় ব্যাখ্যা, বিজ্ঞান বিষয়ক, সাধারণ জ্ঞান, ইন্টারনেট, দৈনন্দিন নানান সমস্যা সহ সকল বিষয়ে প্রশ্ন-উত্তর করতে পারবেন! প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পাশাপাশি অনলাইনে বাংলা ভাষায় উন্মুক্ত তথ্যভান্ডার গড়ে তোলা আমাদের লক্ষ্য!
তাই আজই যুক্ত হোন ই-নলেজে আর বাড়িয়ে দিন আপনার জ্ঞানের গভীরতা...!
Empowering Novel Learners with Joy (Enolej)


  1. Nobita

    6 পয়েন্ট

    0 টি উত্তর

    0 মন্তব্য

    1 প্রশ্ন

  2. সাগর বোস

    5 পয়েন্ট

    0 টি উত্তর

    0 মন্তব্য

    0 টি প্রশ্ন

  3. MD.ATIK HASAN HRIDOY

    5 পয়েন্ট

    0 টি উত্তর

    0 মন্তব্য

    0 টি প্রশ্ন

  4. Abdullah al bakki

    5 পয়েন্ট

    0 টি উত্তর

    0 মন্তব্য

    0 টি প্রশ্ন

  5. রাকিন শাহরিয়ার

    5 পয়েন্ট

    0 টি উত্তর

    0 মন্তব্য

    0 টি প্রশ্ন

...