person
!
প্রোফাইল আপডেট

ভারত কি চাইলেই বাংলাদেশকে ধ্বংস করে দিতে পারে?

"বাংলাদেশ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন (বিশারদ) (3,542 পয়েন্ট)
প্রশ্নের সংকেত- ভারত কি চাইলেই বাংলাদেশকে ধ্বংস করে দিতে পারে?


Ads

1 উত্তর

1 টি পছন্দ 0 অপছন্দ

image


যারা ভাবেন ভারত চাইলেই বাংলাদেশকে ধ্বংস করে দিতে পারে তাদের জন্য বাংলাদেশের অবস্থান দক্ষিণ এশিয়ার ক্রুশিয়াল একটি পয়েন্ট আমাদের স্থল-সীমান্ত দুটি দেশ ইন্ডিয়া এবং বার্মা ইন্ডিয়ার সাথে আমাদের বর্ডার 416 কিলোমিটার আর বার্মার সাথে 273.6 কিলোমিটার ইন্ডিয়ার সাথে আমাদের আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমা রয়েছে। বাংলাদেশের সাথে ইন্ডিয়ার সীমান্তের 7% মারাত্মক দুর্গম সেইসব সীমান্ত অঞ্চল দিয়ে বড় ধরনের ফোর্স নিয়ে আসা এককথায় প্রায় অসম্ভব। বাংলাদেশের যতটানা ভারতকে প্রয়োজন তার থেকেও বেশি বাংলাদেশকে ভারতের প্রয়োজন কারণ, ইন্ডিয়ান 7‌ Sisters।আরেকটি হচ্ছে ইন্ডিয়ান চিকেন নেকএটি বাংলাদেশ এবং নেপালের মধ্যে অত্যন্ত সরু একটি প্যাসেজের মতো। মাত্র 22 কিলোমিটার প্রশস্ত এটি এতই দুর্বল যে এর ভেতর দিয়ে বড় যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি তাই ইন্ডিয়া বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে তার পূর্বাঞ্চলীয় 7 রাজ্যের স্থায়ী আওতায় যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন করার প্রাণান্তকর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে আর এই জন্য তারা খরচের একটি অংশ আমাদের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়েছে।আবার এদিকে গত কয়েক দশক ধরে ইন্ডিয়ান সেভেন সিস্টার্স প্রদেশগুলোতে স্বাধীনতার জন্য আন্দোলন চলছে আসাম ,মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম সহ সব কটি রাজ্যে একাধিক পার্টি স্বাধীনতার জন্য মারামারি করে যাচ্ছে কিন্তু দুঃখের বিষয় তারা এখনো বাইরে থেকে বিশেষ কোনো সাহায্য পাইনি পেলে এতদিন স্বাধীন হয়ে যেত☺️। ভারতের ভয় বাংলাদেশি সব স্বাধীনতাকামী মানুষদের কে সাহায্য করে বসতে পারে কারণ আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় এই সাম্রাজ্যের মানুষরাই উদ্বাস্তু বাংলাদেশিদেরকে সে সময় আপন করে নিয়েছিলো ❤️ লাখ লাখ বাংলাদেশীকে আশ্রয় দিয়েছিল প্রায় সব রকমের সাহায্য করেছিল তাই প্রতিদান দেয়ার ক্ষেত্রে হয়তো বাংলাদেশ পিছিয়ে থাকবে না আর সেই ভয়ে দিল্লি সবসময় ভুল ইতিহাস আউড়ে এসেছে এসব রাজ্যে রয়েছে প্রচুর প্রাকৃতিক সম্পদে আকর্ষণীয় পর্যটন শিল্প তো আছেই। কিন্তু, এই সবকিছুই ডেভলপ করতে হবে আর সেই জন্য প্রয়োজন কমিউনিকেশন সিস্টেম কিন্তু চিকেন নেক এর মারাত্মক দুর্গম পাহাড়ি এলাকা দিয়ে কোন ভাবে রাস্তাঘাট বা রেল রুট করা সম্ভব নয় যদি সম্ভব হত তাহলে ইন্ডিয়া বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ট্রানজিট চাইতো না।আর বিমান যোগাযোগ দিয়ে প্রোপার ডেভলপমেন্ট সম্ভব না কারণ AIR কমিউনিকেশন অন্যান্য যেকোন কমিউনিকেশন সিস্টেম থেকে 10 গুণ বেশি ব্যয়বহুল আর যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাবে যদি উন্নয়ন সম্ভব না হয় তাহলে স্বাধীনতাকামীদের জনপ্রিয়তা যেমন বাড়বে তেমনি কেন্দ্রীয় সরকারের প্রভাব একেবারেই কমে যাবে সঠিক যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাবে। সঠিক যোগাযোগ ব্যাবস্থার অভাবে সঠিক সময়ে ইন্ডিয়ান মিলিটারি মুভমেন্ট প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে।আর পরিস্থিতি যদি সেই দিকেই যায় তাহলে একমাত্র উদ্ধারকর্তা বাংলাদেশ কারণ বাংলাদেশের সমতল ভূমিতে ইন্ডিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় দুর্গম রাজ্যগুলোর প্রায় সবগুলোতেই যাওয়া যায় যেকোনো ধরনের ইকুইপমেন্ট এবং ম্যানপাওয়ার সহজেই মুভ করানো যাবে এর ফলে দূরত্ব যেমন কমে যাবে তেমনি খরচ কমে আসবে এখন বাংলাদেশ এখানে বস ।কারণ, ইন্ডিয়া কেবল এক দিক থেকে বাংলাদেশের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে সেটি হল রাজশাহী থেকে সাতক্ষীরা অঞ্চল পর্যন্ত কিন্তু বাংলাদেশ অটোমেটিক একটি সুবিধা পজিশনে আছে। চায়না পাকিস্তানের সাথে ইন্ডিয়ার লেগেই আছে দিল্লি যদি বাংলাদেশের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে যায় তাহলে এর সুযোগ কিন্তু পাকিস্তান এবং চায়না দুই দেশ‌ই নিবে।তাই আমাদের মতো ছোট প্রতিবেশীর সাথে শক্তির লড়াইয়ে নামতে গিয়ে ইন্ডিয়া তার শক্তিশালী অপনেন্ট এর কাছে কোনো ভাবেই ধরা খেতে চাইবে না তাই ঢাকার সাথে যেকোনো কনফ্রন্টেশন অ্যাভয়েড করে চলবে দিল্লি আমাদের পলিটিশিয়ানরা হুমকিতে ভয় পায় বাংলাদেশ যদি 7 সিস্টার্স কে সাহায্য দেয় তাহলে কারো ক্ষমতা নেই ইন্ডিয়াকে বাঁচায় আবার ইন্ডিয়া যদি বেশি বাড়াবাড়ি করে তাহলে বাংলাদেশের কাছে 2 টি মারাত্মক ট্রামকার্ড তো রয়েছে চীন এবং পাকিস্তান সুতরাং ইন্ডিয়া বাংলাদেশ কে ঘিরে থাকলেও প্র্যাকটিক্যালি india-bangladesh রেলেশনস উইডথ মস্ট প্রবাবল পজিশনে দিল্লির দরকষাকষি সুযোগ কম কিন্তু আমরা এসব বুঝি না কারণ বস্তুত আমরা অশিক্ষিত আমরা মিডিয়াতে ভুলভাল তথ্য গিলতেই ব্যস্ত আমাদের চারপাশে ইনসলেন্ট পারসন যাদেরকে চিনি তারা প্রায় সবাই দিল্লির তাবেদারী করে থাকে এতকিছু উল্লেখ করার পর‌ও যদি মনে হয় বাংলাদেশের ক্ষমতা নাই,তাহলে আসো খেলবো,খেলা হবে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন গুগল আন্টি #enolezfacts #enolez

Main post


মোঃ আশরাফ উদ্দিন খান ই-নলেজ এর প্রতিষ্ঠাতা। খানিকটা অস্তিত্বের তাগিদে আর দেশের জন্য বাংলা ভাষায় কিছু করার উদ্যোগে ২০১৯ সালে তার হাত ধরেই যাত্রা শুরু করে ই-নলেজ ডট কম।তিনি এসএসসি ব্যাচ-২০২৩ এর জিপিএ-৫ বৃত্তিপ্রাপ্ত একজন কৃতি শিক্ষার্থী। আপনাদের সকলের নিকট দোয়াপ্রার্থী।

আশা করি ই-নলেজের মাধ্যমে আপনি উপকৃত হয়েছেন!কৌতুহল মেটাতে ই-নলেজ এর এক্সপার্টদের প্রশ্ন করে  জানাবেন, ই-নলেজ রয়েছে সবসময় আপনার পাশে।জ্ঞানীদের সাথে থেকে আপনিও নিজের জ্ঞানকে বিকাশিত করুন।


ই-নলেজ ডট কম, Enolej Query, Best Question and answer site Enolez , সেরা প্রশ্নোত্তরভিত্তিক কমিউনিটি ই-নলেজ!

উত্তর প্রদান করেছেন (বিশারদ) (3,542 পয়েন্ট)
ঠিক বলেছেন
মন্তব্য করা হয়েছে করেছেন (গুণী) (128 পয়েন্ট)
ধন্যবাদ
মন্তব্য করা হয়েছে করেছেন (বিশারদ) (3,542 পয়েন্ট)

সংশ্লিষ্ট প্রশ্নগুচ্ছ

0 টি উত্তর
"কাজী নজরুল ইসলাম" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Md hasan Mahmud (অতিথি) (6 পয়েন্ট)
1 উত্তর
2 টি উত্তর
"বাংলাদেশ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন MdAUKhan (বিশারদ) (3,542 পয়েন্ট)
2 টি উত্তর
0 টি উত্তর
"বাংলাদেশ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন ইফতেখার নাইম (জ্ঞানী) (637 পয়েন্ট)

18,647 টি প্রশ্ন

19,512 টি উত্তর

2,577 টি মন্তব্য

103,446 জন সদস্য

-: ই-নলেজ আইডিয়া :-

এক প্ল্যাটফর্মে কন্টেন্ট/লেখার কপিরাইট সুরক্ষা, স্বীকৃতি আর ফ্রী প্রমোশন!

লেখালেখির কেন্দ্রীয় প্ল্যাটফর্ম আপনার ধারণাটাই বদলে দিবে! (পড়ুন...)

আপনি কি জানেন—প্রতি সেকেন্ডে কারও না কারও লেখা চুরি হচ্ছে? আপনার লেখাগুলো কি নিরাপদ? যখন লেখা ছড়িয়ে থাকে—সোশ্যাল মিডিয়া, ব্লগ কিংবা সংবাদপত্রে—হযবরল অগোছালো অবস্থায়… তখন একদিকে চুরির ভয়, অন্যদিকে লেখক হারান নিজের পরিচয়। প্রমাণও থাকে না। পাঠকও বা কিভাবে পাবে মূল লেখকের সংস্পর্শ?

ই-নলেজ আইডিয়া—আপনার কেন্দ্রীয় লেখালেখির ঠিকানা। প্রতিটি লেখার জন্য থাকছে ভেরিফাইড পোষ্ট আইডি (eID), আর আপনার জন্য কেন্দ্রীয় লেখক আইডি নম্বর—যেটা ব্যবহার করতে পারেন Bio, CV, কিংবা বই-র রেফারেন্সে। আর ই-আইডি(eID) জুড়ে দিবেন প্রতিটি লেখার সঙ্গে। (যেমন- পোষ্ট eID: ১২৩ ; #eID_123 #enolej)। ফলে কপিরাইট সুরক্ষা থাকবে নিশ্চিত, আর পাঠক থাকবে মূল লেখকের সংস্পর্শে। আর ভেরিফাই হলে করতে পারবেন আপনার পেজ কিংবা ব্লগ এর ফ্রী প্রমোশন!

আপনার লেখক প্রোফাইলেই থাকবে আপনার আর্কাইভ—সব লেখা, ব্যাজ, পয়েন্ট, স্বীকৃতি আর পাঠকের প্রতিক্রিয়া সুশৃঙ্খলভাবে গোছানো।

এখানে আপনি একা নন, পাচ্ছেন লেখক কমিউনিটি। বিভিন্ন জায়গায়, বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে হাজারো লেখক ছড়িয়ে থাকলেও কেন্দ্রীয় প্ল্যাটফর্ম একটাই—যেখানে আপনার স্বত্ব, স্বীকৃতি আর অবস্থান সুরক্ষিত। কেউ কারও eID নকল করতে পারবেনা, কেন্দ্রীয় সোর্স একটাই। এখানেই থাকছে লেখক র‍্যাংক—যেখানে তুলনায় ঝলমল করে উঠবে আপনার কৃতিত্ব।

এটাই আপনার কেন্দ্রীয় ঠিকানা। ভেরিফাই করুন আজই—আপনার লেখাকে দিন স্থায়ী সুরক্ষা।

বিস্তারিত পূর্ণ নির্দেশনা দেখুন পূর্ণ নির্দেশনা [Full Guideline]

ই-নলেজ আইডিয়া – লেখালেখির কেন্দ্রীয় প্ল্যাটফর্ম!

ই-নলেজ কুয়েরি বাংলা ভাষায় সমস্যা সমাধানের একটি নির্ভরযোগ্য ওয়েবসাইট। এখানে আপনি প্রশ্ন-উত্তর করার মাধ্যমে নিজের সমস্যার সমাধানের পাশাপাশি দিতে পারেন অন্যদের সমস্যার নির্ভরযোগ্য সমাধান! বিভিন্ন ব্যক্তিগত সমস্যা, পড়ালেখা, ধর্মীয় ব্যাখ্যা, বিজ্ঞান বিষয়ক, সাধারণ জ্ঞান, ইন্টারনেট, দৈনন্দিন নানান সমস্যা সহ সকল বিষয়ে প্রশ্ন-উত্তর করতে পারবেন! প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পাশাপাশি অনলাইনে বাংলা ভাষায় উন্মুক্ত তথ্যভান্ডার গড়ে তোলা আমাদের লক্ষ্য!
তাই আজই যুক্ত হোন ই-নলেজে আর বাড়িয়ে দিন আপনার জ্ঞানের গভীরতা...!
Empowering Novel Learners with Joy (Enolej)


সর্বশেষ 30 দিনের জনপ্রিয় প্রশ্ন

...